সোহাগ হাসান,সিরাজগঞ্জ: [২]দুদিন পানি কমার পড়ে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আবারো বাড়তে শুরু করেছে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি।  

[৩]  মঙ্গলবার যমুনা নদীর পানি শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ৯ সেন্টিমিটার ও কাজীপুর মেঘাইঘাট পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।  পাশাপাশি জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে।

[৪] শাহজাদপুর,এনায়েতপুর ও চৌহালী উপজেলায় পানি বাড়ার  সঙ্গে সঙ্গে  ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনের মুখে থাকা ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন এলাকাবাসী। তাদের অনেকের দিন কাটছে খোলা আকাশের নিচে ।

[৫] ভাঙনের কবলে  কাজীপুরের মেঘাই ঘাট এলাকায় স্পার বাঁধের ৩০ মিটার বাঁধসহ এনায়েতপুর, চৌহালী ও শাহজাদপুরে বসতবাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে বসতবাড়ি, ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা। 

[৬] দেড় বছর আগে ৬৪৭ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়ে সিরাজগঞ্জের যমুনা

নদীর এনায়েতপুরের পাঁচিল থেকে ব্রাহ্মণগ্রাম পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। 

[৭] সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রকল্পের কাজ অব্যাহত রয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হতে কিছুটা সময় লাগবে।ভাঙনকবলিত এনায়েতপুর, জালালপুর, হাটপাঁচিল ও চৌহালীতে লাম্পিং কাজ চলছে। বর্ষকালে পানির জন্য প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন কঠিন। ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান